ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি,শুক্রবার ০৮ আগস্ট ২০২৫ || শ্রাবণ ২৪ ১৪৩২ :
বাংলাদেশে নতুন করে ঘটনার ঘনঘটা। মধ্যরাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। কক্সবাজারে হাসনাত, সারজিসদের উপর নাকি গোয়েন্দা নজরদারি চালানো হচ্ছে। আর এই খবর করছেন, বাংলাদেশেরই গণমাধ্যম। তবে কি সরকারের সঙ্গে এনসিপির নেতাদের সম্পর্কে ভাটা পড়ে গেল? তুমুল আলোচনা চলছে বাংলাদেশ জুড়ে।
Advertisement
বাংলাদেশের সংবাদপত্র থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম খবর করেছে, গোয়েন্দা নজরদারিতে সারজিস, হাসনাত, জারাদের হোটেল পরিবর্তন। বলা হচ্ছে, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে হঠাৎ করেই কক্সবাজারে যান ৫ জন ছাত্রনেতা এবং উপদেষ্টারা। হঠাৎ করেই তাদের হোটেল পরিবর্তন। তারা কি হোটেল থেকে প্রস্থান করেন। আকস্মিক হোটেল পরিবর্তন নজর এড়ায়নি প্রশাসন এবং সরকারের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ডিজিএফআই ও এনএসআইসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা গত দুই দিন ধরে নেতাদের প্রতিটি গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখছেন।
বলা হয়, শুধু নজরদারিই নয়, গোপন বৈঠকের গুজব, বিদেশি কূটনীতিকের নাম ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা তথ্য, আর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ- সব মিলে সফরটিকে ঘিরে উঠেছে এক ধোঁয়াশা ও কৌতূহল।
৫ ই আগস্ট যখন বাংলাদেশে রাষ্ট্রের তরফে আয়োজন করা হয় জুলাই ঘোষণা পত্র এবং বর্ষপূর্তি, তখন পাঁচ ছাত্র নেতা কক্সবাজারে উপস্থিত হন। নাম জানা গিয়েছে, হাসনাত আব্দুল্লাহ, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সারজিস আলম, তাসনিম জারা এবং খালিদ সাইফুল্লাহ। বিমান থেকে নামার পর তারা ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার না করে সাধারণ যাত্রীদের গেট দিয়ে বের হন তারা। এবং সরাসরি যান ইনানীর বিলাসবহুল সী পার্ল রিসোর্টে। আর সেটা ঘিরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে।
তবে হোটেল সূত্রে খবর, এনসিপি নেতাদের সঙ্গে কোনও বিদেশীদের বৈঠক হয়নি। শোনা যাচ্ছে মঙ্গলবার বিকেলে ডিজিএফআই ও এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা হোটেলে এসে যাচাই করেছেন। এমনকি সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১টার পরপর এনসিপি নেতারা হোটেল ছেড়ে গেছেন বলে খবর। গোয়েন্দা সূত্রে বলা হচ্ছে, এখনো পর্যন্ত গোপন বৈঠকের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে নজরদারি রাখা হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের একদল মানুষ বলছেন, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এই বৈঠক হয়েছে। যাতে নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করা যায়।
Advertisement
তবে যেভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরদারি চলছে, তাতে এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে, এনসিপি এবং সরকারের সম্পর্কে কি ভাটা পড়ছে? তবে এটাও দেখা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারির রোজার আগে তারিখ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে নির্বাচন কমিশনের চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। অর্থাৎ এখন নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্ভর করছে, কবে নির্বাচন হবে। অর্থাৎ নির্বাচনের এক রকম অনুমতি দিয়ে দিল সরকার। সেটাকে ঠেকাতেই কি এমসিপি নেতারা বৈঠক করতে গেল? এমন নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এখন দেখার, বাংলাদেশের জনগণ এটা কিভাবে নেয়!