(ভিডিও) ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গণধর্ষণের পর ৬ টুকরো করা হয় প্রবাসীর স্ত্রীকে

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর প্রতিনিধি,শুক্রবার   ০১ আগস্ট ২০২৫ ||  শ্রাবণ ১৭ ১৪৩২ :

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ফার্মেসির ভেতরে প্রবাসীর স্ত্রীর ছয় টুকরা লাশের রহস্য উন্মোচন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বলেছে, ধর্ষণের কথা ফাঁস করে দেওয়ার কথা বলায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ৬ টুকরো করে দুর্বৃত্তরা।

Advertisement

এ ঘটনায় জড়িত তিনজন হলেন- জিতেশ চন্দ্র গোপ (৩০), অনজিৎ চন্দ্র গোপ (৩৮) ও অসীত চন্দ্র গোপ (৩৬)।

জিতেশ চন্দ্র গোপ কিশোরগঞ্জ জেলার ইতনা থানার শহিলা গ্রামের যাদব চন্দ্র গোপের ছেলে, অনজিৎ চন্দ্র গোপ একই এলাকার রসময় চন্দ্র গোপের ছেলে এবং অসীত চন্দ্র গোপ নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার সুয়াইর অলিপুর গ্রামের পতিত পবন গোপের ছেলে।

আজ শনিবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে এ ব্যাপারে এক সংবাদ সম্মেলন হয়।

সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ‘গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টের ব্যারিস্টার মির্জা আব্দুল মতিন মার্কেটের অভি মেডিকেল হল নামের একটি ওষুধের দোকান থেকে শাহনাজ পারভীন জোৎস্নার ছয় টুকরা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত জোৎস্না জগন্নাথপুর থানার নারকেলতলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী ছরকু মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের ভাই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।’

Advertisement

ওষুধ কেনার সুবাদে অভি মেডিকেল হলের মালিক জিতেশের সঙ্গে শাহনাজ পারভীন জোৎস্নার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। জোৎস্না কিছুদিন ধরে শারীরিক গোপন সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জিতেশ জোৎস্নার মায়ের প্রেশার মাপার জন্য তাদের বাড়িতে যায়। তখন জোৎস্না তার গোপন সমস্যার কথা জিতেশকে জানালে তিনি তাকে ফার্মেসিতে যেতে বলেন।’

ঘটনার বিভৎসতা বর্ণনা করে পুলিশ সুপার মুক্তা বলেন, ওইদিন বিকালে জোৎস্না জিতেশের দোকানে গেলে দোকানে কাস্টমার রয়েছে বলে তাকে অপেক্ষা করতে বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এদিকে রাত গভীর হলে জোৎস্নার বাসায় যাওয়ার অস্থিরতা বেড়ে যায়। তখন ওই ফার্মেসির মধ্যে জোৎস্নাকে একটি ঘুমের ওষুধ খেতে দেন জিতেশ। এতে তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। তখন জিতেশ তার দুই সহযোগী অনজিৎ চন্দ্র গোপ ও অসীত গোপকে নিয়ে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। এরপর রাত গভীর হলে আশপাশের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। তখন জিতেশ ও তার দুই সহযোগী এনার্জি ড্রিংকস পান করে জোৎস্নাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।’

‘এরপর ধর্ষণের কথা সবাইকে বলে দেবেন বলে জানান জোৎস্না। এ কথা বলায় জিতেশসহ তিনজন জোৎস্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফল কাটার ছুরি দিয়ে তার মরদেহ ছয় টুকরো করেন।’

পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ‘এরপর দোকানে থাকা ওষুধের কার্টন দিয়ে খণ্ডিত অংশগুলো ঢেকে রেখে তারা ফার্মেসি তালা দিয়ে পালিয়ে যান। পরে ওই মরদেহের খণ্ডিত অংশ পাশের একটি মাছের খামারে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু ভোর হয়ে যাওয়ায় ও লোকজন চলে আসায় তারা সেই কাজটি করতে পারেননি।’

Advertisement

https://www.youtube.com/live/E9fMBkbJ3-M?si=k2Ro-HFkcInWkNQ

তিনি জানান, এ ঘটনার পর সিআইডির এলআইসি শাখার একাধিক দল আসামিদের গ্রেফতারে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ভাটারা থানার নুরেরচালা এলাকা থেকে জিতেশকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনজিৎ ও অসীত গোপকে গ্রেপ্তার করা হয় জগন্নাথপুর থানার পৌর এলাকা থেকে।