ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫ || আষাঢ় ২৬ ১৪৩২ :
নয় বছরের মায়মুনা আক্তার ময়না। প্রতিদিনের মতোই শনিবার দুপুরে খেলতে বের হয়েছিল বাড়ি থেকে। এরপর আর ফেরেনি। একদিন পর রোববার সকালে বাড়ির কাছের মসজিদের দোতলায় তার নিথর, রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে হতবাক হয় এলাকাবাসী। পুরো এলাকা যেন থমকে যায় শিশু ময়নার মৃত্যুতে।
ময়নার বাবা আব্দুর রাজ্জাক একজন প্রবাসী। তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের হাবলিপাড়ায়। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ইবতেদায়ি শাখার ছাত্রী ছিল ময়না।
পরিবার জানায়, শনিবার দুপুরে হঠাৎ করে ময়নাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রথমে নিজ উদ্যোগে খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হয়ে রাতে সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ময়নার মা নীপা আক্তার। এরপর কেটে যায় এক নির্ঘুম রাত। পরদিন সকালে বাড়ির কাছের মসজিদের দোতলায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ময়নার নিথর দেহ।
খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে মরদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয়দের মাঝে দেখা দেয় তীব্র ক্ষোভ ও শোকের ছায়া।
ময়নার মা নীপা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই, যারা করেছে তারা কেউ যেন না ছাড় পায়।’
সোমবার সকালে সরাইল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
Advertisement
সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তপন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পরপরই আমরা তদন্ত শুরু করেছি। মসজিদের মুয়াজ্জিনসহ দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। ধর্ষণের আলামত খতিয়ে দেখতে মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে।
Advertisement
https://www.facebook.com/share/p/1NT3RTcPAN
তিনি আরও জানান, পিবিআই, সিআইডিসহ একাধিক সংস্থা এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে। খুব শিগগিরই অভিযুক্তদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এই নির্মম ঘটনায় এলাকাজুড়ে চলছে শোক আর আতঙ্ক। স্থানীয়রা অপরাধীদের দ্রুত বিচার এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।