সেনাপ্রধান ও বিজিবি মহাপরিচালকের ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে প্রতারণা করে আটক ২ (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম(টিভি),রাজশাহী প্রতিনিধি ,মঙ্গলবার   ২৭ মে ২০২৫ ||  জ্যৈষ্ঠ ১৩ ১৪৩২ :

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পারাপারে সহায়তার আশ্বাসে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে রাজশাহী মহানগরীর বিন্দুর মোড়ে গুলশান হোটেল থেকে মো. মেহেদী হাসান (৫১) ও মো. নিজাম উদ্দিন (৭১) নামের দুই প্রতারককে আটক করেছে বিজিবি।

Advertisement

 

মঙ্গলবার (২৭ মে) বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২২ মে দুপুরে বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানা যায়, মো. মেহেদী হাসান এবং মো. নিজাম উদ্দিন নামের দুইজন ব্যক্তি নিজেদেরকে সেনাবাহিনী প্রধান, সেনাবাহিনীর কিউএমজি, বিজিবি মহাপরিচালক এবং বিজিবির রাজশাহী সেক্টর কমান্ডারের লোক পরিচয় দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পারাপারে সহায়তার আশ্বাসে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রীম হোটেল ভাড়া ও আনুষঙ্গিক বিভিন্ন খরচ নিয়ে রাজশাহী মহানগরীর গুলশান হোটেলে অবস্থান করছেন। পরে বিজিবির রাজশাহী ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ টহলদল গুলশান হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ২০ মে ঢাকা হতে রাজশাহীতে এসে গুলশান হোটেলের ৪ ও ৫ নম্বর কক্ষে অবস্থান করে। তারা অবৈধভাবে ভারত থেকে গরু চোরাচালানের মধ্যস্থতা করে উৎকোচ গ্রহণের কাজ করে।

 

এতে আরও বলা হয়েছে, আটককৃত নিজাম উদ্দিন নিজেকে সেনাপ্রধানের স্ত্রীর শিক্ষক এবং মেহেদী হাসান নিজেকে এমইএস’র ঠিকাদার হিসেবে পরিচয় দেন। তারা মিথ্যা আশ্বাস দেন যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান এবং বিজিবি মহাপরিচালকের সাথে তাদের বিস্তারিত আলাপ হয়েছে যে, সীমান্ত দিয়ে ভারত হতে বাংলাদেশে গরু নিয়ে আসতে কোন অসুবিধা নাই। এছাড়াও তারা বিজিবি’র রাজশাহী সেক্টর কমান্ডারের বরাত দিয়ে জানান যে, সেক্টর কমান্ডার বলেছেন গরু চোরাচালানের উদ্দেশ্যে বর্ডার খুলে দেয়া হবে।  মেহেদী হাসান আরও জানায়, সে যাদেরকে নির্বাচন করবে শুধুমাত্র তারাই ভারত হতে গরু আনতে পারবে।

Advertisement

বিজিবি জানিয়েছে, আটককৃতরা প্রতিজোড়া গরু ৩৫ হাজার এবং ১০ হাজার গরু বর্ডার পার করে দেয়ার বিনিময়ে ২০ লাখ টাকা অগ্রীম দাবি করে। প্রকৃতপক্ষে তারা উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য অভিনব কায়দায় প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশল অবলম্বন করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

বিজিবির হাতে আটকৃতরা: সংগৃহীত ছবি