ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম(টিভি),টেকনাফ প্রতিনিধি ,শনিবার ২৪ মে ২০২৫ || জ্যৈষ্ঠ ১০ ১৪৩২ :
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত হওয়া টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলার প্রধান আসামি ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীরও ফাঁসি এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। এছাড়া সাতজনকে মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়।
Advertisement
সিনহা হত্যা মামলা ছাড়াও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের করা মামলা কাঁধে বয়ে বেড়াচ্ছেন প্রদীপ কুমার দাশ। কিন্তু কথা হলো- যে স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের জন্য অপকর্ম করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন প্রদীপ, তার এমন বিপদের দিনে পাশে নেই তারাও। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন প্রদীপ। এ সময়টিতে পাননি স্ত্রী-সন্তানের দেখা। দুদকের মামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে পলাতক রয়েছেন স্ত্রী চুমকি। মূলত প্রদীপ গ্রেফতারের পর থেকেই তার সন্ধান মেলেনি। অপরদিকে, প্রদীপ ও তার স্ত্রীর নামে থাকা চট্টগ্রামের বাড়িসহ সব সম্পত্তি আদালতের নির্দেশে ক্রোক করেছে প্রশাসন।
প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার বাদী দুদক চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় প্রদীপের স্ত্রী চুমকি পলাতক রয়েছেন। চুমকি যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে দাফতরিক চিঠি দিয়েছে দুদক। তবে এর আগেই তিনি দেশ ছেড়েছেন কিনা এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই দুদকের কাছে।
Advertisement
২০২০ সালের ২৩ আগস্ট মামলাটি করেন রিয়াজ উদ্দিন। পরে গত বছরের ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়। ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয় আদালত।
এ মামলার পর থেকেই লাপাত্তা প্রদীপের স্ত্রী চুমকি। চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা এলাকায় নিজেদের গড়ে তোলা ‘লক্ষ্মী কুঞ্জ’ নামে বাড়িটিতে সন্তান নিয়ে থাকতেন তিনি। সেই বাড়িতেও মেলেনি তার সন্ধান। স্থানীয়রা বলছেন, প্রদীপ গ্রেফতারের পর থেকেই বাড়িটিতে থাকছেন না চুমকি। তবে কোথায় থাকেন জানেন না কেউ।
এদিকে ১৭ জানুয়ারি দুদকের করা মামলার সাক্ষগ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও তা স্থগিত করে আদালত। চার্জ গঠনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে পিটিশন দায়ের করে আসামিপক্ষ। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত রাখার আবেদন করা হয় তাদের পক্ষ থেকে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করে আদালত। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।