আদালতের বারান্দায় দুই দুগ্ধ শিশুর কান্না; বিচারের বানী কাঁদলো নিভৃতে (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আদালত প্রতিনিধি,২২ ডিসেম্বর : রবীন্দ্রনাথ তাঁর প্রশ্ন কবিতায় লিখেছিলেন বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। বেঁচে থাকলে হয়তো এখন তাঁকে লিখতে হতো বিচারের বাণী সরবে আদালতের বারান্দায় প্রকাশ্যে কাঁদে। বলবো দুই দুগ্ধ শিশুর আদালতে কান্নার গল্প। সারাদিন কেঁদেও যে জামিন করাতে পারেনি তারা। গল্পটা হয়তো বিচারকের বিচারিক মন প্রয়োগ না করার ফলও বলা যায়।

পৃথিবীতে মা ডাকটি যদিও সবচেয়ে মধুর। তবে সেই ডাকেও যে কতোটা কষ্ট আর যন্ত্রনা লুকিয়ে আছে তা কেবল ইয়াসিন জানে। বয়স মাত্র দুই পেরিয়ে তিনের কাছাকাছি, অথচ মা নেই কাছে, নেই মায়ের ঘ্রাণ, আদর আর আবদার

শুধু ইয়াসিন কথাই বলছি কেনো, হয়তো কাঁদছেনা, তবে এক বছরের বড় টুম্পাও যে আদালতের বারান্দায় নি:শ্চুপ যন্ত্রণায় খুঁজে ফিরছে মাকেই।

গেলো শুক্রবার থেকে নানীর করা মামলায় চৌদ্দ শিকের ভেতর আটকে আছে মা, সাথে বাবাও, আর সেদিন থেকেই বন্ধ দুই ভাই বোনের নাওয়া খাওয়া। মঙ্গলবার সারাদিন তাই ঢাকার সিজেএম কোর্টে অবস্থিত আদালতে ঘুরেছে এ দুই শিশু। সাথে ছিলো না কোন আত্মীয়স্বজন। প্রতিবেশীরাই তাদের দেখা শোনা করছে এখন।

চুরি ও মারধরের মামলাটি  নিজের মেয়ে ওয়াসিমা ও জামাই তোফায়েলের নামে করেছেন মামলার বাদী ৬০ বছরের মোমেনা বেগম। তবে এসময় বিচারক জামিন না দিয়ে উল্টো আদালতে কান্নাকাটি বেশী করায় উপস্থিত পুলিশকে শোকজ করেন।

বাস্তবতার বাইরে সবার মানবিক আবেদন তাই বিচ্ছিন্নতার দুঃখে যেনো হিতে বিপরীত না হয়, দীর্ঘ দশ মাস দশ দিনের নাড়ি ছেঁড়া সম্পর্কের ভবিষ্যত।